রাসুল (সা.) টিকটিকি হত্যার আদেশ দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, ইবরাহিম (আ.)-কে যে আগুনে নিক্ষেপ করা হয়েছিল তাতে এই প্রাণী ফুঁ মেরেছিল। (বুখারি, মুসলিম ও ইবনে মাজাহ)

মুসনাদে আহমাদে আয়েশা (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (সা.) ইরশাদ করেছেন, তোমরা টিকটিকি হত্যা করো, এটি ইবরাহিম (আ.)-এর অগ্নিকুণ্ডে ফুঁ দিয়েছিল। বর্ণনাকারী বলেন, এর পর থেকে আয়েশা (রা.) টিকটিকি হত্যা শুরু করেন। 

আবদুল্লাহ ইবনে মাসউদ (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুল (সা.) ইরশাদ করেছেন, ‘যে ব্যক্তি একটি সাপ হত্যা করল তার জন্য সাত সওয়াব এবং যে একটি টিকটিকি হত্যা করবে তার জন্য একটি সওয়াব।’

আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, আল্লাহর রাসুল (সা.) বলেছেন, যে ব্যক্তি প্রথম আঘাতেই একটি টিকটিকি মারবে, তার জন্য রয়েছে এত এত সওয়াব; যে ব্যক্তি দ্বিতীয় আঘাতে তা মারবে, তার জন্য রয়েছে এত এত অপেক্ষাকৃত কম সওয়াব; আর যে ব্যক্তি তৃতীয় আঘাতে তা মারবে, তার জন্য রয়েছে এত এত অপেক্ষাকৃত আরো কম সওয়াব। অপর বর্ণনায় এসেছে, যে ব্যক্তি প্রথম আঘাতেই একটি টিকটিকি মারবে তার জন্য রয়েছে এক শ নেকি, দ্বিতীয় আঘাতে মারলে রয়েছে তার চেয়ে কম নেকি আর তৃতীয় আঘাতে মারলে রয়েছে তার চেয়ে কম নেকি। (মুসলিম) 

হযরত আয়েশা রাদিয়াল্লাহু তা’আলা আনহা ঘরের মধ্যে টিকটিকি মারার জন্য একটি বিশেষ বর্ষা বা লাঠি রাখতেন। এছাড়া রাসুল (সাঃ) বলেছেন →পাঁচটি প্রাণী তোমাদের জন্য ক্ষতিকর। ইঁদুর, বিচ্ছু,চিল,কাক,হিংস্র কুকুর। (বুখারি হাদিস নাম্বারঃ ১৭০৯, অধ্যায় ৪৯,সহিহ মুসলিম হাদিস নাম্বারঃ ২৭৬৩)

রাসূলে কারীম সাল্লাহু সাল্লাম আরো বলেছেনঃ তোমরা নামাজ রত অবস্থায় থাকলেও দুটি কালো প্রাণীকে হত্যা করো, তাহলো সাপ এবং বিচ্ছু।( সুনানে আবু দাউদ ৯৩১)

অর্থাৎ আপনি যদি নামাযে দাঁড়িয়ে থাকেন এবং আপনি যদি দুটি কালো প্রাণীকে অর্থাৎ কাল সাপ এবং বিচ্ছু দেখতে পান বা পরিবারের অন্য সদস্য যদি বলে ঘরে সাপ, বিচ্ছু, এরা ঘরে রয়েছে। বা এরা আশেপাশে রয়েছে তাহলে আপনি নামাজ ভেঙ্গে হলেও এই দুটি প্রাণীকে হত্যা করুন। রাসূল সাল্লাহু সাল্লাম আরো বলেছেনঃ যে ব্যক্তি প্রথম আঘাতে টিকটিকি মারবে তার জন্য ১০০ টি সাওয়াব রয়েছে। দ্বিতীয় আঘাতে মারলে তার চেয়ে কম সাওয়াব এবং তৃতীয় আঘাতে মারলে তার চাইতেও কম সাওয়াব হবে। (সুনানে ইবনে মাজাহ হাদিস নাম্বারঃ ৩২২৯)

সুতরাং এই সমস্ত হাদিসের মাধমে আমরা জানতে পারলাম টিকটিকি মারা সম্পূর্ণ জায়েজ রয়েছে |

ভিডিওতে দেখুন