বর্তমান সময়ে বহুল আলোচিত একটি বিষয় হলো ফিঙ্গার প্রিন্ট তথা আঙ্গুলের ছাপ। পৃথিবীর প্রত্যেক মানুষের আঙ্গুলের ছাপ সম্পূর্ন ভিন্ন। সৃষ্টির প্রথম মানুষ থেকে শুরু করে শেষ মানুষ পর্যন্ত কোনো দুইজনের আঙ্গুলের ছাপ একই রকম হবে না। কি এমন বৈশিষ্ঠ্য দিয়ে আল্লাহ তালা এই আঙ্গুলের ছাপ বানিয়েছেন? আর আজকের আধুনিক বিজ্ঞানও এই ফিঙ্গার প্রিন্ট এর মাধ্যমে আধুনিক সব সিকিউরিটি লক তৈরি করেছেন. চলুন দেখে আসি সেই ১৪৫০ বছর আগেই এই ফিঙ্গার প্রিন্ট নিয়ে পবিত্র কোরানে আল্লাহ কি তথ্য দিয়েছেন,
বর্তমানকালে ক্রাইম ইনভেস্টিগেশনের একটি গুরুত্বপূর্ণ হাতিয়ার হল আঙ্গুলের ছাপ। ফিঙ্গার প্রিন্টকে ডাটা ব্যাংক বলা হয়। জিনের মধ্য সন্নিবেশিত প্রায় সকল বৈশিষ্ট্য, শুধু শারিরীক গঠনই নয় বরং চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য পর্যন্ত আঙ্গুলের ছাপে এনকোড করা থাকে। এই রহস্যময় আঙ্গুলের ছাপের গঠন শৈলীর ইঙ্গিত আল্লাহ কোরআনে দিয়েছেন। আল্লাহ যখন কোরআনে বার বার বিচার দিবস ও পুনরুত্থানের কথা বলেছেন তখন কাফিররা এই বলে হাসাহাসি করতো যে, পচা গলা হাড় গুলোকে কিভাবে একত্রিত করা হবে? একজনের অস্থির সঙ্গে অন্যজনের অস্থিগুলো বদলি হবে না?
আল্লাহ রব্বুল আ’লামিন প্রতিউত্তরে বলেছেন,
أَيَحْسَبُ الْإِنسَانُ أَلَّن نَّجْمَعَ عِظَامَهُ بَلَىٰ قَادِرِينَ عَلَىٰ أَن نُّسَوِّيَ بَنَانَهُ
মানুষ কি মনে করে যে আমি তার অস্থিসমূহ একত্রিত করতে পারবো না?
বরং আমি তার অংগুলিগুলোর অগ্রভাগ পর্যন্ত সঠিকভাবে সন্নিবেশিত করতে সক্ষম।”
(আল কিয়ামাহ, আয়াত ৩-৪)
এখানে আল্লাহ ফিঙ্গার প্রিন্টের ইঙ্গিত দিয়েছেন। আল্লাহ শুধু মানুষের অস্থিতে মাংস পরিয়েই উত্থিত করবেন না বরং এমন নিখুঁতভাবে মানুষকে জীবিত করবেন যেন জীবদ্দশায় তার আঙ্গুলের সুক্ষ্ম রেখা পর্যন্ত সুবিন্যস্থ করবেন। আলাদা আলাদাভাবে সবাইকে নতুন করে সৃষ্টি করবেন।
0 Comments