কোরআন এবং বিজ্ঞান নিয়ে এর আগে আমরা অনেক প্রমাণ দেখেছি, আজও আমি আপনাদের সামনে কোরআন এবং বিজ্ঞান নিয়ে এমন কিছু প্রমাণ দেখাবো যা জানলে আপনিও অবাক হয়ে যাবেন, কোরআনে যা ১৪০০ বছর আগেই বলা হয়েছিল অথচ বিজ্ঞানীরা মাত্র কিছুদিন আগে এসব আবিষ্কার করতে পারলো, তো...
1 একই নারীর দুধ পান কারীদের মধ্যে বিবাহের নিষেধাজ্ঞা নিয়ে কোরআন ও বিজ্ঞানের একই তথ্য।সূরা নিসার 23 নং আয়াতে যাদেরকে বিয়ে করা হারাম তাদের নাম মহান আল্লাহ তাআলা উল্লেখ করে দিয়েছেন। তারমধ্যে দুধ ভাই এবং দুধবোন দের মাঝে বিবাহের সম্পর্ক কে নিষেধ করা হয়েছে।
কিন্তু সেই ১৪০০ বছর আগের আল কোরআনে মহান আল্লাহ তায়ালা কেন এই নিষেধাজ্ঞা জারি করলেন?
বিজ্ঞানের দৃষ্টিতে খুঁজতে গিয়ে পাওয়া গেল এর আসল কারণ, আজকের বিজ্ঞান স্বীকার করে নিতে বাধ্য হয়েছে যে, যদি একই মায়ের দুধ পানকারী সন্তানের মধ্যে একই ধরনের এন্টিবডি সৃষ্টি হয় ফলে দুধ ভাই-বোনদের মধ্যে বিয়ে হলে তা পরবর্তীকালে নানা ধরনের শারীরিক জটিলতা, বিশেষ করে তাদের সন্তানদের মধ্যে জটিলতা সৃষ্টি হওয়ার আশঙ্কা থাকে। অকারণেই এই ধরণের সম্পর্ককে বিজ্ঞান আজ নাকচ করে দিয়েছেন। অবাক করা বিষয় হল যে, এই একই কথা গুলো মহান আল্লাহ তায়ালা ১৪০০ বছর আগেই আল কোরআন বলে দিয়েছেন।
2 হযরত নূহ (আ.) প্লাবন নিয়ে কোরআন ও বিজ্ঞান
সূরা হূদের ৪০ নং আয়াতে মহান আল্লাহ বলেন,
"অবশেষে যখন আমার হুকুম এসে পৌঁছাল এবং ভূ-পৃষ্ঠ প্লাবিত হইল, আমি বললামঃ সর্বপ্রকার জোড়ার দুটি করে এবং যাহাদের বিরুদ্ধে পূর্ব-সিদ্ধান্ত বর্তিত হয়েছে তাহারা ব্যতিত তোমার পরিবার-পরিজনকে, আর যারা ঈমান আনিয়াছে তাদেরকে নৌকায় তুলে নিন। বলাবাহুল্য অতি অল্পসংখ্যক লোকই তাঁর সাথে ঈমান এনেছিল।"(সূরাহ হুদ ১১ : ৪০)
কুরআন মাজিদে নূহ নবীর জাতিকে শাস্তি হিসেবে বিপর্যয়কর বন্যার কবলে ফেলার কথা বলা হয়েছে। আধুনিক ইতিহাসবিজ্ঞান এবং প্রত্নতাত্ত্বিকবিদদের আবিষ্কারে তা প্রমাণিত হয়েছে। ১৯২০ সালে বিজ্ঞানী স্যার লিওনার্দো ওয়ালির নেতৃত্বে একটি দল ইরাকের নগরী উড়ে খনন কাজ চালিয়ে নুহ নবীর আমলে সেই বন্যা হওয়ার প্রমাণ আবিষ্কার করেন।
অথচ আল কোরআনে এই কথা ১৪০০ বছর পূর্বেই বলা হয়েছিল, কিন্তু বিজ্ঞানীরা মাত্র কিছুদিন পূর্বে তা আবিষ্কার করলো।
3 ফেরাউনের মৃতদেহ সংরক্ষণ নিয়ে কোরআন ও বিজ্ঞান
সূরা ইউনূসের ৯২ নং আয়াতে মহান আল্লাহ ফেরাউন সম্পর্কে বলেন,
"আজ আমি (আল্লাহ) তোমার দেহটি রক্ষা করব, যাতে তুমি তোমার পরবর্তীদের জন্য নিদর্শন হয়ে থাক। আর নিশ্চয় অনেক মানুষ আমার নিদর্শনসমূহের ব্যাপারে গাফেল।"(সূরাহ ইউনুস, ১০ : ৯২)
ফেরাউনের হাত থেকে বাঁচার জন্য হযরত মুসা (আ.) মিশর থেকে সাগর পাড়ি দেওয়ার কথা বর্ণনা করা হয়েছে কোরআন মাজিদে। তাদের পিছু নিতে গিয়ে ফেরাউন ও তার বাহিনী ডুবে গিয়েছিল কোরআনে তা সংরক্ষিত রাখার কথা বলা হয়েছে। ১৮৯৮ সালে ফেরাউনের মমি পাওয়ার মাধ্যমে এর সত্যতা মেলে।
বলা বাহুল্য যে, বর্তমানে কায়রোর একটি মিউজিয়ামে ফেরাউনের সেই দেহ সংরক্ষিত আছে। উল্লেখ্য যে, মোহাম্মদ (সঃ) এর গোটা জীবনে ফেরাউনকে দেখার একবারও সুযোগ হয়নি। এটা অকল্পনীয় যে, কোনো মানুষ এমন বিষয়ে ধারণা করতে পারে, যা সে জীবনে পর্যবেক্ষণও করেননি। এবং তার সেই ধারণা হবে সম্পূর্ণরূপে সঠিক। অথচ সেই ধারণা পবিত্র কুরআনে বর্ণিত হয়েছে শত শত বছর পূর্বে। আর এ জন্যই তো বলি যে, 'বিজ্ঞানের উৎস আল-কুরান' আল্লাহু আঁকবার।
প্রিয় দর্শক কোরআন এবং বিজ্ঞানের এমন অনেক মিল রয়েছে, যা আমি আবারও অন্য কোন ভিডিওতে আপনাদের সাথে শেয়ার করবো তাই আর দেরি না করে সেই ভিডিও গুলো দেখতে চাইলে, সাবস্ক্রাইব করে বেল বাটনটি এখনই অন করে রাখুন যেন সবার আগে আপনি ভিডিও গুলো দেখতে পারেন, আর এই যে ভিডিওগুলো এখান থেকে যেকোন ভিডিও দেখে নিতে পারেন।
0 Comments