ড. আফিয়া সিদ্দিকী যিনি করাচীর সম্ভ্রান্ত ও উচ্চ শিক্ষিত পরিবারে ১৯৭২ সালের ২ মা'র্চ জন্ম গ্রহণ করেন। তিনি আন্তর্জাতিক খ্যাতি সম্পন্ন বিখ্যাত একজন মুসলিম স্নায়ুবিজ্ঞানী এবং একজন আলোচিত মহিলা। আফিয়া সিদ্দিকা যিনি ছিলেন নিউরো সাইন্টিস্ট, যিনি ছিলেন একজন পি.এইচ.ডি. হোল্ডার এবং যিনি ছিলেন একজন কোরআনের হাফেজা যার বুকে ধারন করেছিলেন পবিত্র কোরআনের ত্রিশটি পারা। শিক্ষাগত যোগ্যতা : জন্ম সূত্র অনূসারে এই উচ্চ শিক্ষিত নারী পাকিস্তানের নাগরিক। শিক্ষা জীবনে তিনি যুক্তরাষ্ট্রের সর্বোচ্চ ডিগ্রী ধারী (পিএইচডি) লাভ করেন। স্বনামধন্য এই স্নায়ুবিজ্ঞানী শিক্ষা জীবনে অসামান্য মেধার পরিচয় দেন। যুক্তরাষ্ট্রের ব্রন্ডেইস হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয় তাকে “নিউরোলজি” বি'ষয়ে ডক্টরেট ডিগ্রী প্রদান করে। এছাড়াও সম্মান সূচক ও অন্যান্য ডিগ্রীর ১৪০ টিরও বেশি সার্টিফিকেট তিনি অর্জন করেছেন। 

তিনি “হাফিযে কোর’আন” ও “আলিমা”। শিক্ষা লাভের পর তিনি ২০০২ সাল পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্রেই বসবাস করেন ও বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে চাকুরি করতেন। সহকর্মীরা তাকে অত্যন্ত ভদ্র, নম্র ও বিনয়ী হিসেবে পরিচয় দেন। গ্রে'’ফতার ও অ’পহরণ : পিএইচডি ডিগ্রি ধারী এই মহিলাকে মা'র্কিন গোয়েন্দা সংস্থা এফবিআই ২০০৩ সালে পাকিস্তানী কর্তৃপক্ষের সহযোগিতায় আল কায়েদার সাথে যোগাযোগ থাকার অ’ভিযোগে পাকিস্তানের করাচির রাস্তা থেকে তার তিন সন্তানসহ গ্রে'’ফতার করে। পরে প্রচলিত আইনের আওতায় না এনে পাকিস্তানের কারা'গারে গ্রে'’ফতার না রেখেই তাকে আফগানিস্তানের সামর'িক ঘাঁটিতে তাকে ৫ বছর ব’ন্দি করে রাখা হয়। মা'র্কিন আ'দালত তাকে ৮৬ বছর কারা'দন্ড দেয়। ব'ন্দি অবস্থায় তার ওপর ব্যাপক অমানবিক নি’র্যাতনের অ'ভিযোগ চলেছে। পরে পাকিস্তানে কোনো বিচার কার্য না করেই সরাসরি আফগানিস্তানে নিয়ে গেলে পাকিস্তান সরকার ব্যাপক সমালোচনার সম্মুখীন হয়। এবং তাকে অ’পহরনের অ'ভিযোগ ওঠে। তৎকালীন সরকারের এতে হাত রয়েছে বলে মনেকরা হয়। গ্রে'’ফতারের অ'ভিযোগ ও বন্দী জীবন : আল-কায়দার সাথে যোগাযোগ থাকার অ’ভিযোগে তাকে গ্রে'’ফতার করা হয় তিন সন্তান আহম'দ, সুলাইমান ও মা'রিয়মকে সহ। আফগানিস্তানে ব'ন্দি রাখা কালে তার ওপর অমানবিক নি`র্যাতন করা হয়েছে বলে অ'ভিযোগ করা হয়। তাকে মানসিক, যৌ'ন ও শারীরিকভাবে নি`র্যাতন করা 'হত এবং তাকে দিনের মধ্য কয়েকবার করে ধ`র্ষন করা হয়েছে, ন'গ্ন করে কোরআনের উপর হাটিয়েছে বলেও অ'ভিযোগ করা হয়। বাগরাম কারা'গার থেকে মুক্তি প্রা'প্ত ব'ন্দিরা অ'ভিযোগ করেছে “নি`র্যাতনের সময়ে আফিয়ার আত্ন-চিৎকার অন্য ব'ন্দির পক্ষে সহ্য করাও কঠিন ছিলো।” ওই নারীর ওপর নি`র্যাতন বন্ধ করার জন্য অন্য বন্দীরা অনশন পর্যন্ত করেছিলো। এই আফিয়া সিদ্দিকাই কিডন্যাপ হয়েছিল ২০০৩ সালে যার স্থায়িত্ব ছিল ২০০৮ সাল পর্যন্ত। পরবর্তীতে নিয়ে যাওয়া হয় আমেরিকান ট`র্চার সেলে এবং সেখানে তার উপড় চলে পাশবিক নি`র্যাতন,মানসিক নি`র্যাতন। কোরআন শরীফের পাতা ছিড়ে মেঝেতে বিছিয়ে রেখে তাকে উলংগ করে বলা 'হত যাও কোরআনের উপর দিয়ে গিয়ে কাপড় নিয়ে আসো। ঐ নরপ`শুরা তাকে বিভিন্নভাবে নি`র্যাতন চালাতে শুরু করে,খেলায় মেতে ওঠে ঐ হায়েনার দলেরা। পালাক্রমে গনধ`র্ষনের স্বীকার হন এই কোরআনের হাফেজা,নিউরো সাইন্টিস্ট ড:আফিয়া সিদ্দিকা। আমেরিকান আ'দালত তাকে ৮৬ বছরের সাজা ঘোষনা করে এক আমেরিকান সেনা হ`ত্যা চেস্টার অ’পরাধে। আ'দালতে বিচারক কিছু বলার আছে কিনা জানতে চাইলে ড:আফিয়া সিদ্দিকা বলেন… “আপনি তাদের ক্ষমতা দিয়েছেন আমাকে রে’প করার,উলঙ্গ করে সার্চ করার। আপনার কাছে কিছুই বলার নেই আমা'র,আমি আমা'র আল্লাহর কাছে যেয়েই যা বলার বলব। আমিতো সেদিনই মর'ে গেছি যেদিন আমাকে প্রথম ধ`র্ষন করা হয়েছিল। আমাকে ছেড়ে দিন, আমাকে আমা'র দেশে যেতে দিন।” ড:আফিয়া সিদ্দিকার মূল অ’পরাধ ছিল তিনি একজন কোরআনের হাফেজা ছিলেন। এত উচ্চশিক্ষিত হয়েও কেন তিনি কোরআনের দিকে ঝুঁকে ছিলেন,কেন তিনি তাঁর বক্তব্যে কোরআনের রেফারেন্স টানতেন..? কেন তিনি দ্বীনের পথে সামিল হওয়ার দৃঢ় প্রত্যয় নিয়েছিলেন..? এক বছর নয় দুই বছর নয়………..নয় নয়টি বছর তাকে একটানা ধ`র্ষন করা হয়েছিল ঐ অন্ধকার কারা'গারে আট'কে রেখে। শুধু ধ`র্ষন নয় এর পাশাপাশি মর'ন ব্যাধি ক্যান্সারের বীজও তার শরীরে পুঁতে দিয়েছিল ন`রপ`শুরা। ২০০৮ সালে তাকে স্থানান্তর করা হয় নিউইয়র্কের এক গো'পন কারা'গারে। বর্তমানে তিনি পুরুষদের সাথে ওই কারা'গারে ব'ন্দি। কারা'ব'ন্দি নম্বর ৬৫০। চলমান নি’র্যাতন সহ্য করতে না পেরে তিনি মানসিক ভারসাম্য হরিয়ে ফেলেন। পাকিস্তানের তেহরিক-ই-ইনসাফ দলের চেয়ারম্যান ও সাবেক ক্রিকেটার ও পাকিস্তানের প্রেসিডেস্ট ইমর'ান খান দাবি করে বলেন “তার দু সন্তান ইতোমধ্যেই মা'র্কিন নিয়ন্ত্রিত আফগান কারা'গারে মা’রা গেছে। ৩৮ বছর বয়সী এই বিজ্ঞানীকে ৮৬ বছর কারা'দন্ড দেওয়া হয়, আ'দালতে মা'র্কিন গোয়েন্দা ও সামর'িক কর্মকর্তাকে হ`ত্যার চেষ্টার অ’ভিযোগে। অ'ভিযোগ আছে যে তাকে ২০০৮ সালে আফগানিস্তানে অজানা রাসায়নিক পদার্থ ও হা'মলার পরিকল্পনার নোট সহ গ্রে'’ফতার করা হয় এবং তার বিরু'দ্ধে ৭টা মা'মলা দায়ের করা হয়। এরপর তাকে জিজ্ঞাসাবাদের নামে ব্যাপক নি`র্যাতন করা হয়। সরকার পক্ষের আইনজীবী বলেন যে গ্রে'’ফতারের সময় তার কাছে গু'রুত্বপূর্ন স্থানের মানচিত্রর পাওয়া যায়। ড. আফিয়াকে ৮৬ বছর কারা'দন্ডের রায় ঘোষনা করার পর পাকিস্তানের রাস্তায় বিক্ষোভ হয়। অনেকেই মনে করেন তিন সন্তানের জননী হার্ভার্ড পিএইচডিধারী আফিয়া যুক্তরাষ্ট্রের স`ন্তাসবিরোধী যু`'দ্ধের আর একটি নি`র্দোষ শিকার। বিক্ষোভকারীরা অ'ভিযোগ করে, “বিশ্ব জুড়ে সব জায়গায়তেই অ'ভিযুক্তরা “বেনেফিট অব ডাউট” বা সন্দে'হাতীতভাবে দোষী প্রমানিত হওয়ার আগে পর্যন্ত নির্দোষ বলে বিবেচিত হয়। ফলে সকল সুবিধা পায়। কিন্তু ড. আফিয়া তা পাননি বরং নি“র্যাতনের শি’কার হন।” তার ওপর অমানবিক নি`র্যাতনের বি'ষয়টি আলোচিত হয় কারা'গার থেকে তার বহুল আলোচিত চিঠিটি লেখার পর। চিঠিটিতে আফিয়া দাবি করেন তার ওপর শারীরিক, পাশবিক নি’র্যাতনের পাশাপাশি একের পর এক ধ`র্ষন করা হয়। তার একটি কিডনিও বের করে ফেলা হয়েছিলো ফলে তিনি হাঁটতে পারতেন না। তিনি আরো দাবি করেন যে তাকে গু'’লি করা হয় এবং তার বুকে গু'’লি আঘা'ত ছিলো। ধিক্কার জানাই বিশ্ব মানবতা,, হে আল্লাহ তুমি তোমা'র পবিত্র কোরআনের বানী ধারনকৃত ড: আফিয়া সিদ্দিকাকে জান্নাতের সর্বোচ্চ মর'্যাদা দান কর।