"আজকের শিশু আগামী দিনের ভবিষ্যৎ" কথাটা হয়তো কিছুদিন পর আর কারো মনে থাকবে না।কারণ বর্তমান সমাজে কিশোরদের মাঝে যা দেখতে পাচ্ছি তাতে আগামীর বাংলাদেশ উন্নতি তো দূরের কথা, নম্র ভদ্র কোন মানুষ পাওয়া যাবে কিনা সন্দেহ আছে। ক্লাস সিক্স সেভেন কিংবা এইট নাইনে পড়া একটা ছেলে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে যায়, চিপা প্যান্টের পিছনের পকেটে লম্বা ভাজ দিয়ে শুধুমাত্র একটা খাতা নিয়ে । কারণ বেশী বই নিয়ে গেলে নাকি বোকা বোকা মনে হয়। হাইস্কুল পড়ুয়া একটা ছাত্র যদি কলেজ ভার্সিটির ভাব করে ক্লাস করতে আসে তাহলে শিক্ষার কি অবস্থা এটা এটা নিশ্চয় বুঝতে পেরেছেন। বর্তমান ছেলেমেয়েদের কাছে বিনোদন মানেই মনে হয় মাদকের সাথে জড়িত হওয়া। যে ছেলেটা মাদক সেবন করছে না তাকে কেউ ফ্রেন্ড সার্কেলে এলাও করে না। কিশোরদের কাছে বর্তমানে জন্মদিন, বিভিন্ন দিবস কিংবা অনুষ্ঠানে মদ গাঁজা সেবন করাই যেন সবচাইতে বড় উল্লাস। যে বয়সে তাদের নম্র ভদ্রতার শিক্ষা গ্রহণ করার কথা সে বয়সে তারা জড়িয়ে পড়ছে বিভিন্ন অপরাধে, নিজেকে নিজেই ধ্বংস করছে। মাদক, ইভটিজিং, চুরিসহ জড়িয়ে পড়ছে বিভিন্ন অপরাধে।

সামান্য কিছু হলেই মুহূর্তের মধ্যেই গ্যাং সেট করে ফেলে। অমানুষের মত যে কাউকে নির্যাতন করে। এইতো সেদিন দেখলাম, ১৫-১৬ বছরের এক ছেলে সামান্য কারণে তার গ্যাং নিয়ে অন্য এক ছেলেকে অনেক মারধর করেছে। পরবর্তীতে যখন অভিভাবকের কাছে বিচার চাইতে গেল তখন তার অভিভাবক নিরুপায় হয়ে বলে বাবা তোমাদের কাছে ক্ষমা চাই আমাদের ছেলে আমাদের কোন কথাই শোনে না, তাকে শাসন করার ক্ষমতা আমাদের নেই। তোমাদের কাছে মাফ চাই। চিন্তা করে দেখুন কি ভয়ংকর এক সমাজে আমরা বসবাস করছি। বড়দের কাছে শুনেছি আগে নাকি অভিভাবককে দেখলে ছেলে মেয়ে কথা বলার সাহস পেত না, আর এখন তার উল্টোটা হচ্ছে। অভিভাবকরা তাদের ছেলে মেয়েকে শাসন করতে ব্যর্থ। ভাবতে খুব অবাক লাগে কি এক ভয়ংকর সমাজে আমরা বসবাস করছি। এই সমস্ত কিশোরদের নিয়ে আগামীর বাংলাদেশ কি স্বপ্ন দেখবে, ভাবতেই অবাক লাগে।
আমার এই কথাগুলো হয়তো অনেকেরই খারাপ লাগবে, কিন্তু কি করবো বলেন ? বর্তমান সমাজের এটাই যে ব্যাস্ত চিত্র...