নামাজ সময় যদি আপনার মোবাইলে কল আসে তখন আপনি কি করবেন ? বর্তমানে মোবাইল মানুষের নিত্যসঙ্গী। জীবনের তাগিদে কমবেশি সবাইকে এটা বহন করতে হয়। যে কারণে দেখা যায়, প্রায়ই মসজিদে নামাজের সময় মোবাইল বেজে উঠতে। নামাজের সময় মোবাইল বন্ধ কিংবা আওয়াজ বন্ধ রাখার নির্দেশনা সম্বলিত স্টিকার বা লেখা মসজিদের ঝুলতে দেখা যায়।

আবার ইমাম সাহেব প্রতি ওয়াক্ত নামাজ শুরুর আগে এ ঘোষণা দিয়ে থাকেন, ‘আপনার মোবাইল বন্ধ রাখুন।’ কিন্তু এতদসত্ত্বেও নামাজের সময় কারও কারও মোবাইল ফোন বেজে ওঠার কারণে মুসল্লিদের নামাজে বিঘ্ন সৃষ্টি হয় যা কাম্য নয়। এতে নামাজে একাগ্রতা নষ্ট হয়।

এখন প্রশ্ন হলো- নামাজের সময় মোবাইল বেজে উঠলে করণীয় কী। এক্ষেত্রে ইসলামি স্কলারদের অভিমত হলো-
এক. নামাজের সময় মোবাইল বেজে উঠেলে মোবাইলের দিকে না তাকিয়ে এক হাত দিয়ে দ্রুত বন্ধ করে দেবে। তাতে নামাজ ফাসেদ হবে না। চাই পকেটের ওপর থেকে বন্ধ করা হোক বা ভেতরে হাত দিয়ে বন্ধ করা হোক। নামাজ অবস্থায় মোবাইল বেজে উঠলে তা বন্ধ করার এটি উত্তম ব্যবস্থা।

দুই. নামাজের সময় মোবাইল বেজে উঠলে পকেট থেকে বের করে দেখে দেখে বন্ধ করলে, কিংবা এক হাত দিয়ে বন্ধ করলেও নামাজ ভেঙ্গে যাবে। কারণ এ অবস্থায় কোনো আগন্তুক তাকে দেখলে সে নামাজে নেই বলেই প্রবল ধারণা করবে।

তিন. বুক পকেট থেকে বের করে দেখে দেখে বন্ধ করলেও নামাজ ভেঙ্গে যাবে।

চার. ফোল্ডিং সেটও না দেখে এক হাত দ্বারা দ্রুত বন্ধ করে দিলে নামাজ ভাঙ্গবে না। কিন্তু যদি দুই হাত ব্যবহার করে কিংবা দেখে দেখে বন্ধ করে তবে নামাজ ভেঙ্গে যাবে। তেমনিভাবে এক হাত দিয়ে বন্ধ করতে গিয়ে যদি তিন তাসবিহ পরিমাণ সময় ব্যয় হয়ে যায় তবুও নামাজ ফাসেদ হয়ে যাবে। -সূত্র: ফাতাওয়া তাতারখানিয়া: ১/৫৬৪

এগুলো হলো- মোবাইল বন্ধ রাখা বিষয়ক মাসয়ালা। তবে আমাদের পরামর্শ হলো- একান্ত আন্তরিকাতার সঙ্গে নামাজ আদায় করার উদ্দেশ্যে বিশেষ জরুরি প্রয়োজন ছাড়া মসজিদে মোবাইল না নেওয়াই শ্রেয়। আর নিলেও রিংটোন বন্ধ করে রাখা উচিত। 

আশা করা যায় নামাজের সময় যারা মোবাইল ব্যবহার করেন তারা এখন থেকে সাবধান হয়ে যাবেন |